Wellcome to National Portal
মেনু নির্বাচন করুন
Main Comtent Skiped

শিরোনাম
১৫ অক্টোবর আজ বিশ্ব সাদা ছড়ি দিবস: দৃষ্টিপ্রতিবন্ধীদের প্রতি দৃষ্টি নেই কারোরই
বিস্তারিত

দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী ব্যক্তিরা ভালো নেই। তাদের অধিকার বাস্তবায়নে পরিবার, সমাজ, রাষ্ট্র থেকে শুরু করে কোনো সরকারই যথাযথ পদক্ষেপ নেয়নি।

প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের মধ্যে সবচেয়ে অসহায় দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী ব্যক্তিরা।

দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী কন্যাশিশু ও নারীরা সাধারণের চেয়ে দ্বিগুণ নির্যাতনের শিকার হচ্ছে। তা ছাড়া তাদের রাস্তায় চলতে বড় সহায়ক সাদা ছড়ি। সবচেয়ে জরুরি সাদা ছড়ি নামক এ বস্তুটি সরকারিভাবে তৈরি করা হচ্ছে না। বেসরকারিভাবে অল্প কিছু তৈরি হলেও গুণগতমান খুবই নিু। দৃষ্টিপ্রতিবন্ধীদের উন্নয়নে গড়ে ওঠা বিভিন্ন সংগঠন-সংস্থার বক্তব্য, সমাজে সবচেয়ে অবহেলিত তারা। দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের উন্নয়নে কারোরই দৃষ্টি নেই।

বিশ্বে যখন দৃষ্টিপ্রতিবন্ধীরা সেন্সরযুক্ত স্মার্ট ছড়ি ব্যবহার করছে, তখন বাংলাদেশে সাধারণ সাদা ছড়ি তৈরির নির্ধারিত কোনো প্রতিষ্ঠানই নেই। দেশে প্রায় ৪৮ লাখ দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী রয়েছেন। প্রতিবন্ধী ব্যক্তির সংখ্যা প্রায় এক কোটি ৬০ লাখ। সরকার ৪৪ হাজার ৮৪১ জন দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী ব্যক্তিকে ভাতা দিচ্ছেন। রাজধানীর ফুটপাতগুলো দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী কিংবা প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের জন্য এক প্রকার ‘বাধা’ হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে।

দৃষ্টিপ্রতিবন্ধীদের প্রতি নজরহীনতার মধ্য দিয়ে প্রতি বছরের মতো এবারও দিবসটি এসেছে। ‘বিশ্ব সাদা ছড়ি দিবস ও সাদা ছড়ি নিরাপত্তা দিবস’ ১৫ অক্টোবর। প্রতি বছরই ক্যালেন্ডার ধরে দিনটি আসে, চলেও যায়। দুনিয়াজুড়ে আবার দৃষ্টি প্রতিবন্ধীদের উন্নয়নে যথাযথ উদ্যোগ গ্রহণ-প্রয়োজনীয়তা নিয়ে নানা আঙ্গিকে আলোচনা হয়। তারপর যেমন চলার, চলে তেমনিই। আইন কার্যকরেও সরকারি ও সংশ্লিষ্টদের উদাসীনতা রয়েছে। তাই তাদের অধিকারও বাস্তবায়ন হয় না। এবার দিবসটির প্রতিপাদ্য বিষয় হচ্ছে ‘স্বনির্ভর পথ-চলার প্রতীক সাদা ছড়ি।’

দিবসটি উপলক্ষে সমাজকল্যাণমন্ত্রী রাশেদ খান মেনন যুগান্তরকে জানান, দিবসটি যথাযথ পালনে বিভিন্ন কর্মসূচি নেয়া হয়েছে সরকার-মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে। বর্তমান সরকার প্রতিবন্ধী তথা দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের জন্য উন্নয়ন কাজ করে যাচ্ছেন। বর্তমান অর্থ বছরে ১০ লাখ প্রতিবন্ধী ব্যক্তিকে প্রতি মাসে ৭০০ টাকা করে দেয়া হবে। যার মধ্যে দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী ব্যক্তিরাও রয়েছে। মন্ত্রী বলেন, তাদের উন্নয়নে অত্যাধুনিক প্রযুক্তি সম্পূর্ণ সেন্সরযুক্ত সাদা ছড়ি তৈরির উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। তাদের স্বাবলম্বী করে তুলতে একাধিক উন্নয়ন প্রকল্প চালু রয়েছে। প্রতিটি জেলায় দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীদের জন্য আবাসন নির্মাণ করা হয়েছে।

যেখানে ১০ জন শিক্ষার্থীকে বিনামূল্যে পড়াশোনা করানোসহ থাকা-খাওয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে। রাজধানীর ফুটপাতগুলোর যেসব জায়গায় আড়াআড়ি বেড়া বা বাধা রয়েছে তা তুলে দেয়ার জন্য ট্রাফিক বিভাগ ও সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে আলোচনা চলছে।

জাতীয় দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী সংস্থার মহাসচিব মো. আইউব আলী হাওলাদার যুগান্তরকে জানান, সরকার প্রতিবন্ধী কিংবা দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের উন্নয়নে কাজ করছেন। তবে তা খুবই সামান্য। তাদের উন্নয়নে শুধু সরকার নয়, পরিবার, সমাজ, রাষ্ট্রকেও এগিয়ে আসতে হবে।

বাংলাদেশ ভিস্যুয়েলি ইম্পেয়ার্ড পিপলস সোসাইটির (ভিপস) সাবেক সভাপতি অ্যাডভোকেট মোশাররফ হোসেন মজুমদার জানান, বর্তমানে তিনিসহ ৪০ জন দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী অ্যাডভোকেট। যারা অত্যন্ত দক্ষতার সঙ্গে আইন পেশায় কাজ করছেন। শুধু দিবস পালনে ব্যস্ত নয়, তাদের জন্য কল্যাণকর কাজ করতে হবে সর্বস্তরের মানুষকে।

লায়ন্স ইন্টারন্যাশনালের হিসাব মতে, বিশ্বে ২৮ কোটি ৫০ লাখ মানুষ পুরোপুরি ও আংশিকভাবে চোখে দেখে না। ১৯৬৪ সালে যুক্তরাষ্ট্রে প্রথম দৃষ্টিপ্রতিবন্ধীদের জন্য দিবসটি পালন শুরু হয়। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, অপুষ্টি, টাইফয়েড, আমাশয়, ডায়রিয়া, পোলিও, এসিড নিক্ষেপসহ বিভিন্ন দুর্ঘটনায় আক্রান্ত হয়ে এ সংখ্যা দিন দিন বাড়ছে।

ছবি
ডাউনলোড
প্রকাশের তারিখ
14/10/2020
আর্কাইভ তারিখ
16/10/2020